Select Page
দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় । দাতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা চিকিৎসা । ইনফেকশন সমস্যা ও ঔষধের নাম

দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় । দাতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা চিকিৎসা । ইনফেকশন সমস্যা ও ঔষধের নাম

দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় কি এবং কিভাবে দাঁতের ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় আজ আমরা জানার চেষ্টা করব। বর্তমান যুগে দাঁতের ব্যাথার কোন বয়সের সিমানা নেই। যে কোন বয়সেই দাঁতের ব্যাথা হতে পারে। ৫ বছরের শিশুরও হতে পারে আবার ৬০ বছর বৃদ্ব বয়সেও দাঁতের ব্যাথা হতে পারে। তাই দাতের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের এ আয়োজন।

নারিকেল তেল

তিল এর তৈল অথবা নারিকেল তেল মালিশ করাঃ

দাঁতের সংবেদনশীলতার জন্য তিল এবং নারকেল বেশ কার্যকারী। আপনি যদি তিল এর তৈল বা নারকেল তেল দাঁতে মালিশ করে দিতে পারেন তবে তা দাঁতের সংবেদনশীলতা কমিয়ে আনবে। এটা যুগ যুগ ধরে ভারতে আয়ুর্বেদিক হিসাবে প্রচলিত হয়ে আসছে। এই পদ্বতিটা হলো আপনার মুখের চারপাশে কয়েক মিনিট ধরে তেল ঘষতে হবে। এর পর আপনার মুখের থুথু ফেলতে হবে। ২০০৯ সালের একটা গবেষনায় দেখা গেছে যে, তিলের তেল মাড়িতে ঘষলে এটা মাড়িরোগের উপসর্গ এর বিরুদ্বে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে। ডেন্টিসরা এই রুগের নাম দিয়েছেন জিনজিভাইটিস। ইহা পাইলট গবেষনা দ্বারা সমর্থিত যা একটি বিশ্বস্ত উৎস।

তারা আরও বলে যে নারকেল তেল টানা প্লেক গঠন হ্রাস করতে পারে। গবেষনায় আরও বলা হয় যে, এটি জিনজিভাইটিসের চিহ্নিতকারীকে হ্রাস করে। ফলস্বরূপ দাঁতের সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়।

গবেষনার বিশ্বস্ত সুত্র পরামর্শ দেয় যে মাড়ি মন্দা লোকদের মাড়ি প্রদাহ হয়। যারা দাতের সংবেদনশীলতায় ভুগেন তাদের মধ্যে এটি একটি সাধারন সমস্যা।

পেয়ারা পাতা

পেয়ারা পাতাঃ

দাতের ব্যাথা কমানোর জন্য পেয়ারা পাতা খুবই উপকারী। আপনি যদি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন তবে দাঁতের ব্যাথা এবং মাড়ির প্রদাহ থেকে বাঁচতে পারেন। পেয়ারা পাতার নির্যাস থেকে তৈরি একটি টপিক্যাল জেল দাতের ব্যাথার জন্য কার্যকর। “পেয়ারার ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ নির্যাস ব্যথা উপশমকারী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির কারণ। এটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণেও হয়।’ এই কারণে, এগুলো দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধের সম্ভাবনাময় ভুমিকা পালন করে।

লবঙ্গ জেল

লবঙ্গ জেলঃ

দাতের ব্যথা প্রতিকারের জন্য লবঙ্গ জেল দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এক গবেষনায় দেখা গেছে যে, এগুলোর শুধু ঐতিহ্যই নয়, উপকারও আছে। একটি 2006 সমীক্ষার বিশ্বস্ত উত্স এই জেলটিকে বেনজোকেনের সাথে তুলনা করে। এটি হলো সেই ধরনের জেল যাহা একজন ডেন্টিস্ট রোগীর মাড়িকে অসাড় করতে ব্যবহার করেন। জেলটি ব্যবহার করা হয় সূচ ডুকানোর আগে যাতে করে দাতের মাড়ি আবস হয়ে যায়। সুতরাং বলা যেতে পারে যে, একটি লবঙ্গ জেল সুচের ব্যথা উপশম করতে কার্যকর যা বেনজোকেন জেলের মতোই। তাই মাড়িতে লবঙ্গ জেল ব্যবহার করা দাঁতের ব্যথার জন্য কার্যকর।

রসুন

রসুনঃ

ঘরোয়া চিকিৎসার জন্য রসুনের বেরসুনশ সুনাম রয়েছে। আপনি এক টুকরো রসুন চিবিয়ে নিতে পারেন। কারন রসুন চিবানোর ফলে ইহা এক প্রকার অ্যালিসিন যৌগিক  তৈরি করে। অ্যালিসিনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যা দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। স্ট্রেপ্টোকক্কাস মিউটান এর  উদাহরণ। ইহা দাঁতের চারপাশে এস মিউট্যান্ট তৈরি করে দাঁতের ক্ষয় বাড়ায়। দাতের সংবেদনশীলতা এর কারনে খারাপ হয়। অ্যালিসিন এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে দাঁতের সংবেদনশীলতা কমে যেতে পারে।

কালোজিরার উপকারিতা ও গুনাগুন। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরার উপকারিতা ও গুনাগুন। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরার উপকারিতাঃ যুগ যুগ ধরে কালজিরার ঘরোয়া চিকিৎসা মানব সমেজে প্রচলিত রয়েছে। আজ আমরা কালোজিরার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।

১। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনঃ

আমাদের সমাজে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে। আপনার যদি ডায়েবেটিস হয়ে থাকে তবে মনে রাখবেন কালোজিরা আপনার জন্য বিরাট উপকার বয়ে আনবে। ইহা আপনার শরীরের রক্তে উপস্থিত গ্লোকুজের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই কালোজিরা সেবন করলে ডায়েবেটিস রোগীরা সর্বাধিক উপকার লাভ করে থাকেন।

আপনি যদি কালোজিরাকে ডায়বেটিস রোগের জন্য হোম রেমিডি হিসাবে ব্যাবহার করতে চান তাহলে নিম্নোক্ত পদ্বতি অবলম্বন করুন।

প্রথমে কালোজিরাকে ব্লেন্ডিং মেশিনে ব্লেন্ড করুন। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ২-৩ চিমটি কালোজিরা এক গ্লাস পানিতে মিশান। তারপর তা পান করুন।

তাছাড়া আপনি গরম চা এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ভাতের সাথে মিশিয়েও আপনি কালোজিরা খেতে পারেন।

আর আপনি যদি কালোজিরা মুখে নিয়ে খালিপেঠে চিবিয়ে খেতে পারেন  তবে আপনি সর্বাধিক উপকার পেতে পারেন।

কালোজিরার উপকারিতা

২। স্মৃতিশক্তি বৃদ্বিঃ

বর্তমান সময়ে মানুষ মনের মধ্যে নানাবিধ চাপ নিয়ে চলাপেরা করে যা বাহিরে থেকে বুঝা যায়না। মানুষের মনের ভিতরের চাপ তার মস্তিস্কে প্রভাব ফেলে। ফলস্বরুপ মানুষের স্বরণশক্তি কমে যায়। আপনার স্বরনশক্তি ধরে রাখতে বা আপনার স্বরনশক্তি বাড়িয়ে তুলতে কালোজিরা বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে।

কালোজিরা হলো এন্টিসেপ্টিক। ইহা মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চলন বৃদ্বি করে। ফলস্বরুপ মানুষের স্বরণশক্তি বৃদ্বি পায়।

আপনি যদি কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ভালো ফল পাবেন। কারন কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে আপনার রক্তসঞ্চালন বৃদ্বি পাবে এবং স্মৃতিশক্তি অনেক বাড়বে। এক্ষেত্রে আপনি এক চামচ মধুর সাথে এক চামচ কালিজিরা মিশিয়ে সকালে খেতে পারেন।

digestion

৩। হজমের জন্য উপকারীঃ

কালোজিরা হজম শক্তি বৃদ্বিতে খুব উপকারী। আপনার যদি এসিডিটি বা বদ হজম হয় তবে কালোজিরা হতে পারে আপনার জন্য সমাধানের মাধ্যম। প্রতিদিন সকালে কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন যাতে করে কালোজিরা আপনার বদ হজমের বিরুদ্বে শক্ত প্রতিরুধ গড়ে তুলতে পারে। ২-৩ চা চামচ গুড়ো কালোজিরা এক গ্লাস গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন।

Bald head

৪। চুলপড়া কমানোঃ

বর্তমানে আমাদের সমাজে চুলপড়া একটা বিরাট সমস্যার আকার ধারন করছে। চুলপড়া রুগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্বি পাচ্ছে। মানুষ চুলপড়া রোধ করার জন্য অনেক উপায় অবলম্বন করে চলছে তার মধ্যে কালোজিরার তেল অন্যতম। ২-৩ দিন পর পর মাথার মধ্যে কালোজিরার তেল লাগালে চুলপড়া রোধে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাই বলা যেতে পারে চুলপড়া রোধে কালোজিরা হতেপারে আপনার বিশ্বস্ত সংগী।

কালোজিরার উপকারিতা ও গুনাগুন।

ছেলে সন্তান হওয়ার আমল বা উপায়। কন্যা বা মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ কি?

ছেলে সন্তান হওয়ার আমল বা উপায়। কন্যা বা মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ কি?

ছেলে সন্তান হওয়ার আমল বা উপায়। ভালো সন্তান বা ছেলে সন্তান আথবা মেয়ে বা কণ্যা সন্তান হওয়ার বিভিন্ন উপায় বা আমল রয়েছে। যেগুলো আনুসরন বা আমল করলে ছেলে বা মেয়ে যে সন্তান জন্ম গ্রহন করে তারা ভালো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ আমরা বিখ্যাত রতিশাস্ত্র থেকে এসব নিয়ে আলোচনা করব।

ছেলে সন্তান হওয়ার আমল বা উপায়

বিভিন্ন দিনে নারীগমনের  ফলে পুত্র-কন্যা সন্তানভেদ।

শিব তারপর বললেন, নারীগমন সম্পর্কে যেসব বিধান বললাম, তা ছাড়াও শাস্ত্রে আরও বিধান আছে। যেমন প্রথম বিধান হলাে ঋতুর পর চতুর্থ দিবসে অর্থাং স্নানের পর নারী পতির কাছে যেতে পারে বটে, কিন্তু যে দিন মঘা কিংবা মূলা নক্ষত্র হয় সেদিন ষত্বের সঙ্গ পরিহার করতে হবে। অর্থাৎ সেই সেইদিন কদাচ নারীগমন করবেনা।

এবারে মহাদেব ভিন্নশাস্ত্র অনুসারে কোন দিন কি ধরণের সন্তানের জন্ম হুয়,সে বিষয়ে বর্ণনা করলেন।

তিনি বললেন, ঋতুর চতুর্থ দিবসে গর্ভধারন করলে সেই গর্ভে অল্পায়ু এবং ধনহীন পুত্র জন্মগ্রহন করে। পঞ্চম দিনে গর্ভ হলে কন্যা, ঘষ্ঠ দিনে সুমধ্যম পুত্র হয় । সপ্তম দিনে গর্ভ হলে বন্ধা কন্যা এবং অষ্টম দিনে গর্ভ হলে সেই গর্ভে ধনবান পুত্র উৎপন্ন হয়। নবম দিনে গর্ভধারণ করলে সৌভাগ্যবতী কন্যা, দশম দিনে শ্রেষ্ঠ পুত্র সন্তান লাভ করে থাকে।

একাদশ দিনে গর্ভ হলে অধার্মিক কন্যা এবং স্বাদশ দিনের গর্ভে  শ্রেষ্ঠ পুত্র জন্ম গ্রহণ করে।

ত্রয়ােদশ দিনে গর্ভ হলে সেই গর্ভে মহাপাপীয়সী বর্ণসঙ্করকারিণী কন্যার উৎপত্তি হয়ে থাকে।  চতুর্দশ দিনে যে নারী গর্ভধারণ করে তার সেই গর্ভে ধর্মজ্ঞ কৃতজ্ঞ আত্নবেদী ও দৃঢ়ব্রত পুত্র জন্মে।

পঞ্চদশ দিনে গর্ভ হলে পতিব্রতা কন্যা এবং ষােড়শ দিনে গর্ভধারণ করলে সেই গর্ভে সর্ব ভূতের আশ্রয় স্বরূপ পরম ধার্মিক, সুলক্ষণক্ত, সর্বশ্রেষ্ঠ পুত্র জন্মে। এই পুত্র বংশের সুনাম বৃদ্ধি করে সারা দেশ সেই পুত্রের খ্যাতিতে ভরে ওঠে।

রাত্রে চতুর্থাং পুত্র। স্যাদল্লায়ুধনবর্জিত ।

পঞ্চম্যাং.পুত্রিণী ষষ্ঠাং পুত্রো সুমধ্যমঃ ॥

সপ্তম্যাম প্রজ। যেষিদষ্টমামীশ্বরঃ পুমান।

নবম্যাং সুভগা নারী দশম্যাং প্রবরঃ সুতঃ।

একাদশামধৰ্ম্মা স্ত্রী দ্বাদশ্যং পুরুষােত্তম।

ত্রয়ােদ শ্যাং সুতাং পাপাং বর্ণসঙ্করকারিণীম ।

ধৰ্ম্ম জ্ঞশ্চ কৃতজ্ঞশ্চ আ ত্মবেদী দৃঢ়ব্রত।

প্রজায়াতে চতুর্দশাং পঞ্চদ্যাং পতিব্রত।।

আশ্রয়ঃ সৰ্ব্বভূতানাং ষােড়শ্যাং জায়তে পুমান।

শাস্ত্রে আরও বর্ণনা করা হয়েছে যে স্বামী বা স্ত্রী রােগগ্রস্ত কিংবা

নারী গমনের কালাকাল বিচার।

কোন কোন দিন নারীগমন করা উচিত, কোন দিন উচিত নয়,গমন করলে কোনদিন কি ফল হয়, আর দোষের জন্য নারীগর্ভে যে সন্তানের জন্ম হয়, সে কি প্রকার ফল পায় তা প্রবণ করতে অমার ঝুব ইচ্ছা হয়েছে। হে দেব, ঘদি আমার প্রতি আপনার করুণা দৃষ্টি থাকে, তা হলে এই সমন্ত ষথাষথভাবে আমার কাছে কীর্তন করুন।

শ্রতং পদ্মপুরাণোক্তং রতিশাস্ত্রং মহাত্মনা।
অশ্রতং চাস্তি যচ্চেব তদত্রবীহি মহ্প্বর: ॥
অগম্যাদিবসান ব্রহি গমনে কিং ফলং ভবেং ।
গমনাজ্জায়তে যোহসৌ কীদৃশাে বা ভবিষ্যুতি।
এতৎ সর্ব্বং সমাচক্ষ যদি তে অস্তি কুপাময়ি ।

শিব বললেন-হে দেবি, তুমি যা জিজ্ঞাসা করেছ তা বলছি, মন দিয়ে শােন। হে দেবি, রতিশাস্ত্র সম্পূর্ণ জানতে পারলে তুমি যে পরম জ্ঞানবতী হবে এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। শোন দেবি,

প্রবক্ষ্যামি যৎ পৃষ্টং সাম্প্রতং ত্বয়া।
রতিশাস্ত্রং বিদিত্বা ত্বং লহাজ্ঞানবতী ভবেঃ ।

নারীগমনের নিষিদ্ধ দিন

শিব বললেন -হে পার্বতি, চতুর্দশী, অষ্টমী, প্রতিপদ, পৃর্ণিমা,অমাবস্যা, সংক্রান্তি, একাদশী এই সমন্ত দিন নারীগমনের পক্ষে বর্জনীষ্ জানবে। এ ছাড়াও পিতৃশ্রাদ্ধদিন, যাত্রাকাল অর্থাৎ কোথাও যাত্রার সময়ে ও রবিবার -এই কয়দিনও নারীগমন বিবর্জনীয়। এই সমস্ত দিনে ও সময়ে কখনও নারীগমন করবেনা, তাহলে সদা কুফল ভুগ করতে হয়। এবং বিপদ গ্রন্ত হতে হয়। রতিশাস্ত্রে মহাজ্ঞানী ব্যক্তিরা এইরুপ নির্দেশ দিয়েছেন ।

নারীগমনদোষে পুত্র-কন্যার অবস্থা।

শিব বললেন-হে দেবি, স্ত্রীগমনদোষেই পুত্র-কন্যা দুখঃভাোগী ও অল্পায়ু হয়ে থাকে বলে মনে রাখবে। সেই সব বিষয়েই বিস্তুত বলা হচ্ছ।

বিবাহ হতে না হতেই অর্থাৎ কমল অপূর্ণ থাকলে সেই নারীর সঙ্গে সহবাস করলে যথাসময়ে সেই নারীর গর্ভে থে সন্তান হুয়, সে দীর্ঘজীবী হয় না। আল্প দিনের মধ্যেইি সে মৃত্যু মুখে পতিত হয়ে থাকে। ষদি কোন ব্যক্তি অসুস্থ থাকে তবে সে সময়ে তার নারীগষন করা উচিত নয়। ঘদি সেই গর্ভে কোনও পুত্রকন্যা জন্মে, তবে তারা চিরদিন দুঃখভােগ করে থাকে। অতএব বৃদ্ধিমান ব্যক্তিরা এই সব কথা বিবেচন করে নারীগমন করবে।

 

ছেলে সন্তান হওয়ার আমল বা উপায়

রাত্রির প্রহরভেদে নারীগমনের ফল ও সেই গর্ভজাত সন্তানেরর অবস্থা।

শিব বললেন হে পার্বতি, রাত্রির প্রহরভেদে নারীগযন করলে যেরূপ ফল হয় এবং সেজন্য পুত্র ও কন্যা হলে তাদের যে অবস্থা হয়, তা বলছি শ্রবণ কর।

হে দেবি, রাত্রির প্রথম প্রহরে নারীগমন করলে তৎ-ঔরসে সেই নারীর গর্ভে যে সন্তান হয়, তা সে পুত্র বা কন্যা যাই হােক, তারা দীর্ঘজীবী হয় না। খুব অল্প দিনেই তার মৃত্যু হয়।

যে লােক রাত্রির দ্বিতীয় প্রহরে নারীগমন করে, তার ফলে পুত্র কন্যা যা হয়, তারা অবশ্য দীর্ঘদিন বাঁচে, কিন্তু তারা খুব দরিদ্র হয়, তারা সৌভাগ্য লাভ করে না।

হে মহেশ্বরি, রাত্রির তৃতীয় প্রহরে ঘদি কোনও পূরুষ নারীগমন করে, তা হলে সেই নারীর গর্ভে যে কন্যা সন্তান হয়, সে  ব্যভিচারিণী এবং পুত্র হলে যারপরনাই অভাজন হয়। সেই দুর্যয় দুর্মতি  পুত্র চিরদিন পরের দাস্যবৃত্তি করে কালযাপন করে থাবক।

হে প্রিয়ে, সুবুদ্বিযুক্ত প্রতিটি মানুষ নিজের কল্যাপের জন্য এই সমস্ত শাস্ত্র বিশেষ পর্য্যালােচনা করে ঘথাযথ আচরণ  করে থকেন।

রাত্রেপ্ত প্রথমে যাম ঋতুং রক্ষতি যে নর।
তস্থ পুনশ্চ কন্যা বা অচিরাৎ স্রিয়তে প্রুবং ।
গচ্ছেচ্চ কামিনীং কোহপি দ্বিতীয় প্রহরে যদি।
কুমতি-দুজ্জ নষ্চেব দাস্যবৃত্তিং করােত্যসৌ।
চতুর্থ প্রহর যাে হি নারীং গচ্ছতি কামতঃ ।
পুত্রাে স লভতে মত্ত্যা হরিভক্তি পরায়ণং ।

দিনের বেলা নারীগমনের ফল।

শিব বললেন-হে পার্বতি, কি আর তােমার কাছে বর্ণনা করব বল। দিনের বেলা কোন সময়েই কোন পুরুষের নারীবিহার করা উচিত নয়। যে ব্যক্তি নিজের মঙ্গল চায়, বৃদ্ধিমান, জিতেন্দ্রিয় তার পক্ষে দিনের বেলা কোনও সময়ই নারীগমন করা উচিত নয়। দিনের বেলা নারীগমন করলে সেই গর্ভে যে পুত্র বা কন্যা হয়, তারা দুঃশীল, দুর্দান্ত, দুরাচার ও ধর্মহীন হয়ে থাকে। এতে কোন অন্যথা নেই। রতিশাস্ত্র অনুযায়ী এই বিধান একান্ত অমােঘ ও ধ্রুব, এট। মনে রাখা অবশ্য কর্তব্য ; তাই দিবাভাগে নারীগমন একাস্ত বর্জনিয়।

ছেলে সন্তান হওয়ার আমল বা উপায়

ঋতুর চতুর্থ দিন থেকে চতুর্দশ দিন পর্য্যন্ত নারীগমনের ফল।

এবারে মহাদেব একটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয় সম্বস্কে বর্ণনা করতে উদ্যত হলেন। তা হলো ঋতুর চতুর্থ দিন থেকে চতূর্দশ দিন পর্যসন্ত নারীগমনে কি ফলাফল হয়। সেই অবশ্য জ্ঞাতব্য বিষয় বর্ণনা করলেন তিনি।

কোন দিনে নারীগমন করলে তার  গর্ভন্থ সন্তানের কি অবস্থা হয়, তাও বর্ণনা করলেন তিনি।

ঋতুর শেষে চতুর্থ দিন নারী স্নান করলে শুদ্ধ হয়। এর আগে নারীগমন একান্তুভাবে বর্জনীয়-তা আগেই বর্ণন করা হয়েছে।
চতুর্থ দিনেও নারী প্রথম প্রহরে অগম্যা থাকে। কিন্তু পরবতী প্রহরে নারীগমন করলে সেই গর্ভে যে পুত্র হয়, সে পরম ধর্মপরায়ণ হয়ে থাকে।

সুত্রঃ বৃহৎ রতিশাস্ত্র

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য গণনা। শরীরে সুখ দুঃখ এর লক্ষণ বা চিহ্ন।

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য গণনা। শরীরে সুখ দুঃখ এর লক্ষণ বা চিহ্ন।

পুরুষ ও নারীদের শরীরে সুখ দুঃখ এর লক্ষণ বা চিহ্ন।

হাতের রেখা দেখে ভাগ্য গণনাঃ পুরুষ জাতীর বিভিন্ন লক্ষণ ও চিহ্ন বর্ণনা। 

নারীর লক্ষণ-অলক্ষণের বিচার যেমন করা হলাে, তেমনি আবার পুরুষ জাতীর শরীরেও এমন সব চিহ্ন আছে যা দেখে তাদের সুখ বা দুঃখ কিংবা তাদের ভাগ্য কেমন হবে—তাদের জীবনে উন্নতি সম্ভব হবে না অবনতি ঘটবে তা বলা যায়। অনেকে আজকাল হয়ত এ সব চিহ্নে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে জীবনে বাস্তব অভিজ্ঞতা ঘটতে থাকলে তারা এ সব বিশ্বাস করতে বাধ্য হন। পুরুষ বা নারীর হয়ত বিরাট উচ্চকুলে জন্ম—কিন্তু তারা তাদের দেহের বিভিন্ন লক্ষণ অনুযায়ী ভাগ্য লাভ করে। তাই লক্ষপতির ঘরে জন্ম নিলেও কত লােক – যারা নানান ধরনের কুলক্ষণযুক্ত—তারা ধীরে ধীরে সমস্ত অর্থ নিঃশেষ করে জীবনে অশেষ কষ্ট পায়।।

আবার হয়ত কোন লােক খুব গরীব বা মধ্যবিত্ত ঘরে তার জন্ম, সে নিজের চেষ্টায়, উদ্যমে, ভাগ্যে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে ধনে, মানে, প্রতিষ্ঠায় সমাজে শ্রেষ্ঠ লােক বলে নিজেদের পরিচয় দিতে পারে। তাই কোন লােক তার মেয়ের বিবাহাদির জন্য যদি পাত্র খুঁজতে যায়, তবে শুধু বংশ বা চেহারা দেখে বিচার করলেই হবে না, পুরুষ জাতির নানা কুচিহ্ন তার দেহে বর্তমান কিনা তা দেখা একান্ত আবশ্যক। আমরা জানি, স্বদেশে ও বিদেশে এমন হাজার হাজার লােক ছিলেন যারা নিতান্ত গরীব হয়েও জগতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হয়েছেন।

সেক্সপীয়র ছিলেন ঘােড়ার গাড়ির কোচম্যান, ষ্ট্যালিন ছিলেন কামারের ছেলে, হিটলার মুচির ছেলে, মোপাসা পতিতার পুত্র। আমাদের দেশেও শরৎচন্দ্র, আলামােহন দাস, স্যার জেমসেদজী টাটা, কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রভৃতি অজস্র মনীষী ও শ্রেষ্ঠ ধনী নিতান্ত গরীবের ঘরে জন্মেছিলেন

তাই ভাগ্য বা সুখ সৌভাগ্যের পরিবর্তনে মানুষের বিশ্বাসী হওয়া অবশ্যই উচিত। আমাদের শাস্ত্রে আরও আছে—

স্ত্রীয়াশ্চরিত্রং পুরুষ ভাগ্যং।

দেবাঃ ন জানন্তি কুততা মনুষ্যাঃ ।।

কোন পুরুষের ভাগ্যে যে কি আছে, তা দেবতারা পর্যন্ত জানতে বা বলতে পারেন না। তাই সুখ-দুঃখ-সৌভাগ্য ইত্যাদির চিহ্ন যে অনেকটা এ বিষয়ে পূর্বাহ্নে শুভ সূচনা করে সে কথা অবশ্য স্বীকার্য।

মহাদেব অতঃপর পুরুষজাতির ভাগ্য ও সুখ-দুঃখের যে বর্ণনা দিলেন তা একে একে বলা হচ্ছে।

যে লােকের কণ্ঠস্বর, বুদ্ধি ও নাভি গভীর হয় তাকে সুখী ও সুলক্ষণযুক্ত বলে জানবে। অর্থাৎ সে লােকের গলার স্বর বেশ ভারী হয়, বুদ্ধি বেশ ধীরস্থির এবং বেশ ভালভাবে অগ্র-পশ্চাৎ না ভেবে সে কোনও কাজ করে না, আর তার নাভির গর্ত বেশ গভীর থাকে ।। এ ছাড়া যার বুক, শির ও ললাট (কপাল) প্রশস্ত, সেও লক্ষ্মীবান পুরুষ বলে বর্ণিত হয়েছে।

স্বরে বুদ্ধিশ্চ নাভিশ্চ ত্রিগম্ভীরমুদাহৃতম।

এব যস্য বিস্তীর্ণং তস্য শ্ৰীঃ সব্বততামুখী।

উরঃ শিরাে ললাটঞ্চ ত্রিবিস্তীর্ণং প্রশস্ততে।

তারপর অন্য আর ও কতক গুলি লক্ষণ বর্ণনা করা হয়েছে।

যে পুরুষের কটিদেশ বিশাল (বেশ চওড়া যার কোমর ও নিতম্ব), সে বহু পুত্র লাভ করে থাকে যে পুরুষের বাহু সুদীর্ঘ ( অনেক সময় আজানুলম্বিত বাহু বলে শ্রেষ্ঠ পুরুষদের বর্ণনা করা হয় ), সে নরশ্রেষ্ঠ ও সুখ সম্পন্ন হয়ে পরম শান্তি ও আনন্দে দিন কাটাতে পারে। যে পুরুষের বক্ষদেশ বিশাল—অর্থাৎ যার বুক বেশ চওড়া ধরনের সে পুরুষ ধনধান্যযুক্ত হন। সাংসারিক সর্ববিষয়ে তার ভাগ্য ভাল দেখা যায়।। যে পুরুষের শিরােদেশ বিশাল ( অর্থাৎ মাথা যার বড় ), সে নরলােকে সর্বত্র পূজা পায়। এই পুরুষরা সর্বত্র সুমেধা ও নিজ কীর্তির মহত্বের জন্যে সকলের কাছে পূজনীয় হয় এবং সকলেই তাদের গুণের জন্য তাদের শ্রদ্ধা ভক্তি করেন।

কটিবিশাল বহুপুত্ৰভাগী।

বিশালহন্তো নর-পুঙ্গবঃ স্যাৎ।

উরে বিশালং ধনধান্যভােগী

শিরে বিশালং নরপূজিতঃ স্যাৎ৷৷

অতঃপরে আরও কতকগুলি পুরুষজাতির লক্ষণ বর্ণনা করা হচ্ছে। এগুলি সব সুচিহ্ন।

যে পুরুষ বিশেষ কঠিন কাজকর্ম করে না, অথচ তার হাতদুটি হয় শক্ত ও কঠোর, অনেক পথ চলেও যার পা দুটি থাকে কোমল, আর যে পুরুষের করতল রক্তবর্ণ অর্থাৎ লালচে রঙের হয়, সেই পুরুষ যে সুখী হবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।

অকৰ্ম্ম কঠিনৌ হস্তৌ পদাবন্ধনি কোমলো।

যস্য পাণিতলৌ রক্তৌ স সুখী নাত্ৰ সংশয়ঃ ।

যে পুরুষের শিক্ষাগ্র অর্থাৎ লিঙ্গের অগ্রভাগ স্থুল হয় সে সুখী হয়। যে পরুষের শিশ্ন দীর্ঘ বা অনেক বেশী লম্বা সে দুঃখ পায়, যে পুরুষের শিশ্ন চোট কিন্তু কৃশ হয় সে সৌভাগ্য লাভ করে থাকে।

সুলশিশ্নঃ সুখী চৈব দীর্ঘাশিশ্নশ্চ দুঃখিত।

কৃশশিশ্নশ্চ সৌভাগ্যলক্ষণং নাত্ৰ সংশয়ঃ ৷৷

যে পুরুষের নেত্র (চোখদুটি ) স্নিগ্ধ—অর্থাৎ যার দুটি চোখের  দৃষ্টি কোমল ও সুন্দর, সে সুখ ও সৌভাগ্যশালী হয়ে থাকে। যে পুরুষের দন্ত স্নিগ্ধ অর্থাৎ চক্চকে ও সুন্দরভাবে সাজান সে উত্তম ভােজন করে থাকে। যে পুরুষের হস্ত স্নিগ্ধ অর্থাৎ যার হাত সুঠাম ও সুদৃশ্য হয় সে ঐশ্বৰ্য্যাশালী হয়ে থাকে । যে পুরুষের পদদ্বয় স্নিগ্ধ অর্থাৎ যার দুটি পা সুঠাম, কোমল ও সুদর্শন, দে। নানা যানবাহনের অধিকারী হয়ে থাকে।

সৌভাগ্যং লভতে নূনং নেত্রসেহ-সমাম্বিতঃ।।

উত্তমং ভােজনং চৈব দম্ভ-স্নেহ-যুত হি।।

হস্তস্নেহেন চৈশ্বৰ্য্যং পাদস্নেহেন বাহনম ৷৷

এবারে সবচেয়ে সুখ ঐশ্বৰ্য্য ও সম্পদযুক্ত পুরুষের একটি বিশেষ লক্ষণ এখানে বলা হচ্ছে। ও ঐশ্বৰ্য একাধারে কেউ উপভােগ বলা হচ্ছে। দুটি ব্রুর মধ্যে কপালে যদি কোনও পুরুষের রক্তবর্ণ অর্থাৎ লাল রঙের রেখা থাকে, তবে সে সব ঐশ্বর্যযুক্ত ও অতুলনীয় সুখের অধিকারী হয়ে থাকে। পৃথিবীর মধ্যে তেমন পুরুষের মত সুখ ও ঐশ্বৰ্য একাধারে কেউ করতে পারে না। এই চিহ্ন অত্যন্ত সুলক্ষণযুক্ত। কিন্তু এখানে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এ রেখাটি সম্পূর্ণ নিচের থেকে ওপর পর্যন্ত আগাগােড়া হবে।। আগাগােড়া লালবর্ণ হতে হবে। যদি তা না হয়ে এই রেখার উপরের দিকের কিছুটা অংশ নীলবর্ণ হয় বা নীল আভা বের হয়, তাহলে সে পরুষ জীবনে কখনও সুখলাভ করে না।।

বাের্মধ্যে চ যা রেখ। রক্তবর্ণ ভাবেদঘদি।

সবৈ শ্বৰ্য্য সম যুক্তঃ স সুখী নাজ সংশয়ঃ ।।

তস্যাদ্ধে যদি রেখা স্যাৎ নীলবর্ণ। চ দীর্ঘিকা।

ন সুখং লভতে কাপি ইতি শাস্ত্রবিনির্ণয়ঃ ।

মহাদেব অতঃপর রতিশাস্ত্রে সুখদুঃখের আরও নানা চিহ্ন একে একে বর্ণনা করে চললেন।

যদি কোন পুরুষের নাকের অগ্রভাগে বতুলাকার (বােতলের মত গােল ) চিহ্ন থাকে এবং সেই চিহ্ন যদি কিছু শুরু অর্থাৎ সাদা রঙের আভাযুক্ত হয় তাহলে সেই পুরুষ যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন পরম সুখে দিন যাপন করে। জীবনে কখনও কোনও অভাব বা অশান্তি এসে তাদের ক্লেশ দিতে পারে না। যে লােকের কপালে শুক্ল রেখা অর্থাৎ সাদা রঙের রেখা দেখা যায় সেই পুরুষ আজীবন পরম সুখে দিন কাটায়—জীবনে কখনও কষ্ট পায় না। কামশাস্ত্রে এইসব সুখলক্ষণগুলি যা লেখা আছে তা কখনও মিথ্য হয় না।

বা লাকার চিহ্নঞ্চ নাসাগ্রে যদি দৃশ্যতে।।

কিঞ্চিৎ শুক্লঞ্চ তচিহ্নগ্ধ সুখী নাত্ৰ সংশয়ঃ ।।

ললাটে যদি জায়তে শুক্লরেখা নরস্য চ।।

সুখিনং তং বিজানীয়াৎ কথিতং কামশাস্ত্রিণা।

এতক্ষণ ধরে মহাদেব পুরুষের সুখ, সৌভাগ্যের কতকগুলি রেখা বর্ণনা করলেন। এবারে তিনি এমন কতকগুলি চিহ্ন বর্ণনা করলেন, যা থাকলে মানুষ জীবনভাের দুঃখভােগ করে থাকে। যে পুরুষের চোখের উপর অর্থাৎ চোখের উপরের পাতার উপরিভাগে গৌরবর্ণ রেখা দেখা যায়, নিঃসংশয়ে সে পুরুষ আজীবন দুঃখভােগ করবে। যে পুরুষের নাসামূলে অর্থাৎ গােড়ার দিকে পীতবর্ণ অর্থাৎ হলদে রঙের চিহ্ন দেখা যায়, সে আজীবন দুঃখভােগ করে এতে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই।

গৌররূপা চ যা রেখা যদি স্যাৎ নেত্রসংস্থিতা।

দুঃখভােগী ভবেচ্চৈব নাত্ৰ কাৰ্য্যা বিচারণা।

নাসামুলে চ যৎ চিহ্নং দৃশ্যতে পীতবর্ণকম।

তঞ্চ দুঃখস্য মূলং স্যাৎ নাত্ৰ কাৰ্য্যা বিচারণা।

এ ছাড়া যদি কোন পুরুষের অধরে অর্থাৎ ঠোটে অরুণবর্ণ অর্থাৎ টকটকে লাল চিহ্ন থাকে, তবে তার সারা জীবন দুঃখের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়ে থাকে। যদি কোনও পুরুষের অঙ্কুষ্ঠের মুলদেশে কৃষ্ণবর্ণ রেখা দেখা যায় তাহলে সেই পুরুষ যতদিন জীবিত থাকে, দুঃখে শােকে তার কাল অতিবাহিত হয়ে থাকে। যদি কোনও পুরুষের করতলে মৎস্যপুচ্ছের চিহ্ন থাকে— সেই চিহ্ন সুখ ও ধর্মময় জীবনের লক্ষণ। কিন্তু সেই মৎস্যপুচ্ছের নিম্নভাগে বার্তুলাকার ধূম্রবর্ণ  চিহ্ন থাকলে সেটি খুব খারাপ। যতদিন সে বেঁচে থাকে খুব দুঃখে তার দিন অতিবাহিত হয়।

যদি স্যাদারুণং বর্ণং চিহ্নং কস্যাপি চাধরে।

তদা তস্য বিজানীয়াৎ জীবনং দুঃখমূলকম ।

অষ্ঠমূলমধ্যে যা বেখ। স্যাৎ কৃষ্ণবণিকা।।

দুঃখমূলং হি তস্য স্যাৎ জীবনং নাত্ৰ সংশয়ঃ ।।

মীনপুচ্ছসমীপে চ যস্য চিহ্নং ব্ৰজত থঃ।।

বক্ৰাকৃতিঃ ধূম্রবর্ণং দুঃখেন তস্য জীবনম।

যদি কোন পুরুষের তর্জনীর অগ্রভাগে অর্থাৎ তর্জনীর আগায় গােলাকার  চিহ্ন দেখা যায় তাহলে সে কখনাে সুখে কখনও বা সুখে দিনযাপন করে। তার জীবন মধ্যম ধরনের হয়।

মাসিক।প্রথম ঋতুস্রাব কোন তিতিতে হলে কি হয়?

মাসিক।প্রথম ঋতুস্রাব কোন তিতিতে হলে কি হয়?

প্রথম ঋতুস্রাব বৃহৎ রতিশাস্ত্র থেকে আলোচনা।

গিরিরাজনন্দিনী পার্বতী ধৈর্যসহকারে মহাদেবের কাছ থেকে সমস্ত শাস্ত্রবচন শুনলেন।

তার মন আনন্দে ভরে উঠল।

মহাদেবের মত জ্ঞানী যে সারা বিশ্বে দুর্লভ তা তিনি তার মুখ থেকে সমস্ত শাস্ত্রবচন শুনে স্পষ্টই বুঝতে পারলেন।

তিনি তখন অত্যন্ত বিনয় বচনে ধীরে ধীরে মহাদেবকে বললেন-হে দেব! আপনার মুখে সমস্ত শাস্ত্রবচন শুনলাম। আপনার পায়ে আমার ভক্তিপূর্ণ নমস্কার।

এখন আপনার নিকট আমি যা জানতে চাই, আশা করি তা আমার কাছে বর্ণনা করে আমার মনের কৌতূহল নিবৃত্ত করতে নিশ্চয়ই সচেষ্ট হবেন।

নারীজাতির ঋতুলক্ষণের বিষয় শোনবার জন্যে আমার একান্ত কৌতুহল হয়েছে। অর্থাৎ নারীজাতি যখন প্রথম রজঃস্বলা (প্রথম ঋতুস্রাব) হয় তার তিথি, মাস, নক্ষত্র, বার প্রভৃতি দোষ-গুণে কিরূপ ফল পায় তা কৃপা করে আমাকে বলুন।

ঋতুস্রাব

এতং ত্বয়েরিতং সব্বং নমস্তেহস্তু নমােনমঃ।।

আধুনা ক্ৰহি মে দেব নারীণাং ঋতুলক্ষণং ।

দেবীর কথায় মহাদেব সন্তুষ্ট হলেন।

তিনি বললেন –হে দেবি ! এবারে আমি নারীদের ঋতুলক্ষণগুলি একে একে বর্ণনা করছি, তুমি তা শ্রবণ কর এগুলি শুনলে রতিশাস্ত্রে বিশেষ জ্ঞানলাভ হয়ে থাকে ।

সবার আগে তিথিফল অর্থাৎ কোন্ তিথিতে আদ্যঋতু হলে কিরূপ ফল হয় সে বিষয়ে বলতে উদ্যত হয়েছি। তুমি নিবিষ্ট মনে আমার বাক্য শ্রবণ কর।

শূণু দেবি প্রবক্ষ্যামি নারীণাং ঋতুলক্ষণং।।

যচ্ছা জায়তে জ্ঞানং রতিশাস্ত্রে মহেশ্বরি।

তাদৌ তু প্রবক্ষামি তিথিনাং ফলমুত্তমং ।

শৃণুকৈমনা ভূত্বা রতিশাস্ত্রোদিতং যথা।।

আদখা হয় তিথিল মহাদেব বললেন-হে দেবি !

এখন প্রথম ঋতুস্রাব (আদ্যঋতুর) তিথিফল শােন।

প্রথমা অর্থাৎ প্রতিপদ তিথিতে যে নারীর ঋতুপদ্ম বিকশিত হয়, যে নারী শমনভবনে যায় অর্থাৎ অল্পদিনে তার মৃত্যু হয়, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

হে প্রিয়ে! যদি দ্বিতীয়া তিথিতে কোন নারী প্রথম ঋতুস্রাব হয়, তাহলে সেই নারীর স্মৃতিশক্তির তীক্ষ্ণতা কমে যায়, এই নির্দেশ দিয়ে থাকেন শাস্ত্রবিদ পণ্ডিতেরা।

হে মহেশ্বরি! তৃতীয়া তিথিতে যদি নারীজাতির কমল বিকাশপ্রাপ্ত হয় তাহলে তার ঋতু বিফল হয়ে যায়। তাতে কোন সন্তান জন্ম হয় না।।

হে প্রিয়ে! তার পরবতী ঋতুদর্শনের বর্ণনা শােন। চতুর্থী তিথিতে কোন নারী যদি প্রথম ঋতুদর্শন করে, তা হলে সে বন্ধ্যা হয়ে থাকে।

যদি পঞ্চমী তিথিতে কোন নারী ঋতুদর্শন করে, তা হলে সে অল্পদিনের মধ্যে মারা যায়। এ কথা শাস্ত্রের বচন।

ষষ্ঠী তিথিতে যদি কোন নারী আদ্যঋতু দর্শন করে তবে তার অবস্থা প্রথমার মত হয়, অর্থাৎ সেও অল্পদিনের মধ্যে মারা যায়। এ কথা নিশ্চিত সত্য।।

সপ্তমী তিথিতে কোন নারী আদ্যঋতু দর্শন করলে সে হয় কাকবন্ধ্যা, আর অষ্টমী তিথিতে আদ্যঋতু যদি নারীর হয়, সে হয় নাগিনীস্বরূপা অর্থাৎ মন হয় হিংসুটে ও বিদ্বেষভাবাপন্ন।

হে দেবি, যে নারী নবম তিথিতে প্রথম ঋতুদর্শন করে, তাকে নারী জাতির মধ্যে উৎকৃষ্টা বলে জানা যায়। সে নারী সুসন্তানের জননী হয়।

কিন্তু দশমী তিথিতে আদ্যঋতু দর্শন করলে সেই নারী হয় রাক্ষসী স্বরূপ অর্থাৎ রাক্ষসীর মত ভয়াবহ। এটি যে নিভূল কথা, তা শাস্ত্রকারগণ স্বীকার করেছেন।

একাদশী তিথিতে কোনও নারী যদি প্রথম ঋতুস্রাব দর্শন করে তবে তাকে ডাকিনী বলে জ্ঞান করবে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।

দ্বাদশী তিথিতে যে কন্যা ঋতুমতী হয় তাকে যোগিনী বলে জ্ঞান করতে হবে।

ত্রয়ােদশী তিথিতে যে নারী আদ্যঋতু দর্শন করে, সে খুবই পতিব্রতা ও পতিভক্তিপরায়ণা। সে আদর্শ গৃহিণী হয়, এটি শাস্ত্রের কথা।

চতুর্দশী তিথিতে যদি কোনও নারী আঋতু দর্শন করে তবে সে লক্ষ্মীভ্রষ্টা হয় অর্থাৎ তার ধন-দৌলত নষ্ট হয়।।

পূর্ণিমা তিথিতে যদি কোনও নারী ঋতুমতী হয়, তাকে দেবীরূপিণী অর্থাৎ সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মী বলে জ্ঞান করবে।

আর যদি অমাবস্যা তিথিতে কোনও নারী ঋতুমতী হয় তবে সে জরা রোগ ইত্যাদিতে ভুগে থাকে।

এগুলি শাস্ত্রোক্ত ভাষায়

বিসতি যদা পদ্মং প্রথমায়াং মহেশ্বরি।

অচিরাৎ মিয়তে সৈব নাত্ৰ কাৰ্যা বিচারণা ।

দ্বিতীয়ায়াং ভবেন্নারী যদি রজস্বলা প্রিয়ে।।

স্মৃতেলে পা ভবেশ্চৈব ইতি শাস্ত্রবিদাং মতং ।

বিসতি যদা পদ্মং তৃতীয়ায়াং মহেশ্বরি।

ঋতুব্যথা ভবেন্নারী শৃণু-তৎপরতাে যথা।

পঞ্চমাং মিয়তে নারী চতুর্থী বন্ধকী তথা।

ষষ্ঠ্যাং বিসতি পদ্মং পঞ্চমী ফলমায়া ৷৷

সপ্তম্যাং কাকবন্ধ্যা ত অষ্টম্যাং নাগিনী ভবেৎ।

মানবজাতিয়াং বিদ্যাং নবম্যাং দেবী সত্তমে।

বিসতি যদা পদ্মং দশম্যাং পক্ষয়ােদ্দয়েন।

রাক্ষসী সা ভবেন্নারী গীয়তে তু মনীষিভিঃ।

একাদশাস্তিথৌ নারী যদি রজোবতী ভবেৎ।

ডাকিনী তাং বিজানীয়াৎ নাত্ৰ কাৰ্য্যা বিচারণা।

দ্বাদশ্যাং যােগিনী চৈব যদি কন্যা রজস্বলা।

পতিব্রতা ভবেশ্চৈব ত্রয়ােদশাং মহেশ্বরি ।

লক্ষ্মীহীনা চতুর্দশাং কীৰ্ত্তিতং বিবুধৈরিতি ।

পূর্ণিমায়াং ভবেন্নারী দেবী সা লক্ষ্মীরূপিণী ।

অমবস্যাস্তিথৌ নারী যদি রজস্বলা ভবেৎ।

জরাব্যাধি সমাকীর্ণা নাত্ৰ কাৰ্য্যা বিচারণা।

সূত্রঃ বৃহৎ রতিশাস্ত্র

ঘুম আসার সহজ উপায়-ঘুমের সমস্যা-ঘুম না আসার কারন। ঘুমানোর দোয়া

ঘুম আসার সহজ উপায়-ঘুমের সমস্যা-ঘুম না আসার কারন। ঘুমানোর দোয়া

ঘুম আসার সহজ উপায়: ঘুম প্রকৃতির এক অনন্য দান এবং অমূল্য সম্পদ। যার সঠিকভাবে ঘুম হয়না সেই এই অমূল্য সম্পদের মূল্য বুঝতে পারে । ঘুম ছাড়া না হলে মানুষ পাগল প্রায় হয়ে পড়ে। বৈবৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায় যে ঘুম সব বয়সেই জরুরী । ঘুম মনকে সতেজ করে তোলে, দেহের কার্যত প্রতিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, দেহকে পুনর্গঠন করে। কিন্তু উপরুক্ত সুবিধাগুলি পেতে কতটুকু ঘুম আমাদের দরকার?

Home Remedies For Deep Sleep at Night

ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন নির্দেশিকাঃ

স্লিপ ফাউন্ডেশন এক পরামর্শ বার্তায় বলে যে প্রাপ্তবয়স্ক স্বাস্থ্যবানদের প্রতি রাতে 7 থেকে 9 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। বাচ্চা, ছোট বাচ্চাদের এবং কিশোরদের আরও বেশি ঘুম দরকার তাদের বৃদ্ধি এবং বিকাশ সক্ষম করতে করার জন্য। ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় 65 বছরের বেশি বয়সীদেরও প্রতি রাতে ঘুম দরকার।

ঘুম প্রকৃতির সৃষ্টি। ঘুম না হলে পৃথিবীর যে কেউ তার স্বাভাবিক জীবন চালিয়ে যেতে পারে না। ঘুম বাঁচার অংশ আপনি যদি প্রতি রাতে প্রায় না ঘুমিয়ে থাকেন তবে সকালে চোখ খোলার পরে আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন। সারা দিন শরীর ঝিমঝিম করবে। এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধির এটি একটি বড় কারণ। অনেকে একে অনিদ্রা বলে থাকেন। আসলে আমরা যদি ঠিক মতো না ঘুমাই তবে আমরা একে অনিদ্রা বলি। লাতিন শব্দ ‘সোনিয়া’ এর অর্থ ‘ঘুম’। এবং ‘ইন’ এর অর্থ ‘না’। ‘অনিদ্রা’ শব্দটি এই দুটি থেকেই এসেছে।

নীচে আমরা ঘুম আসার সহজ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব:

১. ঘুমের রুটিন অনুসরণ করুন:

ঘুম

আপনার প্রয়োজন ঘুমের রুটিন। এটি গভীর ঘুমের বিকাশ করে। আজ থেকে প্রতিদিন ঘুমের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করুন। প্রতি রাতে একই সময় ঘুমালে গভীর ঘুম বিকাশে সহায়তা করে।

২. ধূমপান করবেন না:

সকলেই জানেন ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। গভীর ঘুমের ক্ষেত্রেও এটি একটি বাধা। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

৩. ডায়েট পরিবর্তন করুন:

কফি, চা, কোমল পানীয় এবং চকোলেট আপনার গভীর নিদ্রা কমিয়ে দেয়। সুতরাং, এগুলি এড়িয়ে যান। মশলাদার বা ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। রাতের হালকা খাবার গ্রহন করুন। এবং আপনার শোবার কয়েক ঘন্টা আগে আপনার ডিনার শেষ করা উচিত।

৪. ডিভাইসগুলি এড়িয়ে চলুন:

এটি একটি খারাপ ধারণা। কম্পিউটার, টেলিভিশন, ভিডিও গেম বা সেল ফোনের মতো কিছু ধরণের ইলেকট্রনিক্স আমরা বিছানায় যাওয়ার আগে সর্বদা শেষ ঘন্টাটির মধ্যে ব্যবহার করি। এই ডিভাইসগুলির আলো মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে, এটিকে বায়ু করা শক্ত করে তোলে, তাই গভীর ঘুমের জন্য এই ধরণের ডিভাইসটি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

৫. খুব বেশি চিন্তাভাবনা:

আমরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমাদের মস্তিষ্ককে প্রতিদিন হাজারো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে দিই না। এমনকি বিছানায় শুয়ে থাকার পরেও মস্তিষ্ক বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে কাজ করতে থাকে। যা ভাল ঘুমের সম্ভাবনা নষ্ট করে।

ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই প্রতিদিনের চিন্তাভাবনা থেকে নিজেকে সরিয়ে দিন। আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ গ্রহণ করে এমন অন্য কিছু করুন। উদাহরণস্বরূপ, একই নামের সাথে শুরু হওয়া দেশের নামটি মনে রাখুন বা আপনার মনে নিদ্রাকে বহুগুণ করুন।

৬. আলোর উৎস:

যে কোনও হালকা আলোর উৎস যা খুব ছোট, তা আপনার পছন্দসই ঘুমকে নষ্ট করার পক্ষে যথেষ্ট। হতে পারে এটি কোনও সুইচবোর্ড বা বৈদ্যুতিক ডিভাইস থেকে আলো। ঘুমানোর সময় সমস্ত হালকা আলোর উৎস বন্ধ করুন বা ঘুমানোর মুখোশ পরে ঘুমান।

৭. গোলমাল:

৭. ওয়ার্কআউট সেশন:

আপনার শয়নকাল আগে ওয়ার্কআউট সেশন গুটিয়ে নিন।